

Writer : Ishrat Purobi.
প্রথমে, আমার সাম্প্রতিক ছোট্ট একটা গল্প বলে নিই৷
দুর্বিষহ ফাইনাল প্রফ শেষ করে ঢাকায় বোনের কাছে যাচ্ছি একরাশ ক্লান্তি আর খুশির মিশ্র অনুভূতি নিয়ে। বাসে উঠে দেখি, আমার পাশের সীটে একজন আন্টি বসা। কথা বলে জানতে পারলাম আন্টিও আমার গন্তব্যেই নামবেন। তো, উনার সাথে গল্প করতে করতে স্বভাবত চুপচাপ আমিও বেশ ফ্রি হয়ে গেছিলাম, কেননা আন্টি শিক্ষিতা, খুব মিশুক আর প্রচুর কথা বলেন৷ আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলেন৷ তো যা হয় আরকি, মেডিকেল স্টুডেন্ট শুনলেই মানুষজন বলা শুরু করে তাদের ফ্যামিলিতে কয়জন ডাক্তার আছে, তার অমুক এর তমুক মেডিকেল এ পড়ে ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর শুরু হয় তাদের নিজের রোগ সম্পর্কে বলা। এতোদিন ধরে এই রোগে, ওই রোগে ভুগছেন, কোথায় ডাক্তার দেখিয়েছেন, ডাক্তার এর ব্যবহার এর বর্ননা এই সবকিছুই জিজ্ঞেস না করেই পাওয়া যায়।
ওই আন্টিও তার ব্যাতিক্রম নন। এক পর্যায়ে বলা শুরু করলেন, দুই বছর আগে উনার লিভারে সিস্ট ধরা পড়ছে। ইন্ডিয়া থেকে অপারেশন করে এসেছেন।
সদ্য প্রফ শেষ করা আমার মন অনুসন্ধিৎসু হয়ে উঠলো, লিভারে কি কি সিস্ট হতে পারে একবার Recall করলাম। তারপর উনি বলে যেতে লাগলেন, অপারেশন করে কতোগুলো সাদা সাদা পাথর বের করছে নাকি।
Cyst থেকে পাথর! ![]()
যাইহোক আমি মনে মনে Hydatid cyst এর দিকে যাচ্ছিলাম।মনে মনে বললাম , আচ্ছা দেখি বলতে থাকুক।
তারপর আরও কতক কথামালার অবতারণার পর উনি বললেন, ডাক্তার উনাকে Albendazole খেতে বলেছেন৷ শুনে তো আমি নড়েচড়ে বসলাম! ![]()
তারপর জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা আন্টি, আপনাদের ফ্যামিলিতে কেউ গরু, ভেড়া এইসব পালতেন?
– হ্যাঁ, আমার শ্বশুর নাকি কতগুলো ভেড়া পালতেন।
আমি যেন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেলাম। তারপর শ্বাস আটকে রেখে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আন্টি আপনার কি মনে আছে আল্ট্রার রিপোর্ট এ কি লেখা ছিলো? Hydatid cyst বা এরকম কিছু?
– হ্যাঁ , হ্যাঁ Hydatid cyst.
আমি তো পারলে খুশিতে লাফ দেই! ![]()
কিন্তু আন্টিকে বুঝতে দিই নি, History নিয়ে ডায়াগনোসিস করতে পারায় আমার যে কি পরিমাণ আনন্দ হচ্ছিলো! ![]()
যাইহোক, আনন্দ চেপে রেখে উনার বাকি কথা সহমর্মিতার দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুনলাম।
• বি:দ্র: সাড়ে ৩ ঘন্টার জার্নির পরিচয়েই সেই আন্টি আমাকে তার গাছের কিছু আম জোর করে দিয়ে দিছিলেন৷ ![]()
আমার মতো অনেকেরই মনে হয় এমন হিস্ট্রি নিয়ে রোগ ডায়াগনোসিস করতে পারার ছোট ছোট গল্প রয়েছে।এমন সব গল্প চাইলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন৷ ![]()
এবার আসি, আমাদের আজকের মূল আলোচনা:- Hydatid Cyst.

Hydatid একটা গ্রীক শব্দ, যার অর্থ : Watery vesicle.
আর Cyst অর্থ তো “থলে” আমরা সবাই জানি।
Hydatid cyst একটি Helminthic ( কৃমিজনিত) রোগ। সুনির্দিষ্ট ভাবে বললে এটি হয় মূলত একটি Tapeworm ( ফিতাকৃমি) দিয়ে যার নাম Echinococcous granulosus.

E. granulosus এর দুইটি Stage রয়েছে,
একে Dog tape worm বলা হয় কারণ Dog এর intestine এ এরা grow করে। আর এর Definitive host হচ্ছে Dog.
Definitive host: Where a parasite passes its adult & sexual cycle.
আরেক ধরনের host রয়েছে,যাদেরকে বলা হয় intermediate host যেখানে তাদের asexual cycle পরিচালিত হয়.
E.granulosus এর Intermediate host গুলো হচ্ছে:-
এবার দেখা যাক E.granulosus এর জীবনচক্র।
Life cycle :
E.granulosus সাধারণত Dog এর Feces এ পাওয়া যায়। আর Dog এর fecess মাটিতে মিশলে এতে থাকা E.granulosus এর eggs ঘাসের সাথে মিশে যায়। আর Sheep সহ অন্যান্য cattle সেই Contaminated grass & water ingest করার মাধ্যমে parasite তাদের শরীরে প্রবেশ করে। Eggs গুলো প্রথমে Intestine( Duodenum) এ গিয়ে বাসা বাঁধে, সেখানে ডিম ফুটে Hexacanth embryo বের হয়। এরপর এরা intestinal layer কে penetrate করে এবং Portal circulation এ চলে যায়। এতে প্রথমে affected হয় Liver. তারপর Lungs, , kidney, brain, bones, pelvic organ & muscle এও ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের বিভিন্ন Organ এ তখন Cyst Formation হয় যাকে বলা Hydatid cyst.

তবে লিভারেই সবচেয়ে বেশি Cyst formation হয় ( ৭০%)।
আর, মানুষও Dog feces দ্বারা contaminated food & water intake করার মাধ্যমে infected হয়৷
Human কে বলা হয় “Dead end intermediate host” কারণ, মানুষ অন্য কোনো প্রাণিতে এই parasitic কে ট্রান্সমিট করে না৷ অর্থাৎ মানুষের বডিতে E.granulosus এর Life cycle incomplete থেকে যায়৷ এজন্য মানুষকে accidental intermediate host ও বলে।
আবার, কোনো জবাই করা Sheep এর শরীরের আক্রান্ত অংশ গুলো Dog যদি ingest করে তাহলে Hydatid cyst সরাসরি Dog এর শরীরে transmit হয়। আর এভাবে Cycle complete হয়।
Hydatid cyst এর কয়েকটি layers থাকে।
Hydatid cyst এর ভেতরে যা যা থাকে:-
Daughter cyst :-
It is formed due to detachment of fragment of germinal layer, regression of brood capsule & scolex.
Brood capsule: It is formed by inward budding of germinal layer.
Hydatid fluid.
Germinal layer থেকে Hydatid Fluid তৈরি হয়।

Contents of of hydatid fluid:
Hydatid Sand : Some of brood capsule & protocolises break off & get deposited at the bottom of the cyst. This granular deposit is known as hydatid sand.
Hydatid cyst এ আক্রান্ত ব্যক্তির কি কি sign/symptoms দেখে দেয়?
Diagnosis :
Treatment:

This is all about. Thank you everyone for your patience. ![]()
Edited By : Nahid Hassan.